ব্রেক্সিটের প্রধানমন্ত্রী এবং অস্থির রাজনীতি
ব্রিটেনে একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, যাঁকে সবাই ব্রেক্সিটের
প্রধানমন্ত্রী বলে অভিহিত করছেন। কেননা, নতুন প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের
ঘাড়েই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করা এবং
বাস্তবায়নের দায়িত্ব পড়েছে। তবে পরিহাসের বিষয় হচ্ছে, টেরেসা মে এই বিচ্ছেদ
চাননি। বরং ইউরোপের সঙ্গে ব্রিটেনের সমৃদ্ধি ও ভাগ্য জড়িত বলে তিনি তাঁর
নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে একযোগে প্রচারণা
চালিয়েছেন। যে কাজ তিনি করতে চাননি, করা উচিত নয় বলে বিশ্বাস করেছেন, সেই
কাজই এখন তাঁকে করতে হবে। ফলে ব্রেক্সিটের আশঙ্কা সত্য হওয়ায় ব্রিটেনে যে
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে, তা যে আরও বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার
আশঙ্কাই প্রবল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ডেভিড ক্যামেরনের গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে অনেকে নিজেই নিজের কবর খোঁড়ার মতো কাজ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ক্ষমতাসীন টোরি পার্টির কট্টর ডানপন্থীদের চাপের মুখে তাঁদের তুষ্ট করার সিদ্ধান্তটি যে শুধু তাঁর জন্য আত্মঘাতী হয়েছে তা-ই নয়, পুরো মূলধারার রাজনীতিকে ওলট-পালট করে দিয়েছে। ব্রিটেনের ইউরোপ থেকে এক্সিটকে ব্রেক্সিট বলা হলেও কার্যত এটি প্রথম সারির রাজনীতিকদের অনেকেরই মহাপ্রস্থান বা গ্রেক্সিটে রূপান্তরিত হয়েছে। ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণায় যাঁরা নেতৃত্ব দিলেন, তাঁদের যখন পথ দেখানোর কথা, তখন তাঁরাও সরে যেতে বাধ্য হলেন। টোরি পার্টির ডানপন্থী অংশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন ও আইনমন্ত্রী মাইকেল গোভ। টোরি পার্টির বাইরে এই প্রচারণার নেতৃত্বে ছিলেন উগ্র জাতীয়তাবাদী ইউকে ইনডিপেনডেন্টস পার্টির (ইউকিপ) নাইজেল ফারাজ।বিস্তারিত--
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ডেভিড ক্যামেরনের গণভোট অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে অনেকে নিজেই নিজের কবর খোঁড়ার মতো কাজ বলে মন্তব্য করেছিলেন। ক্ষমতাসীন টোরি পার্টির কট্টর ডানপন্থীদের চাপের মুখে তাঁদের তুষ্ট করার সিদ্ধান্তটি যে শুধু তাঁর জন্য আত্মঘাতী হয়েছে তা-ই নয়, পুরো মূলধারার রাজনীতিকে ওলট-পালট করে দিয়েছে। ব্রিটেনের ইউরোপ থেকে এক্সিটকে ব্রেক্সিট বলা হলেও কার্যত এটি প্রথম সারির রাজনীতিকদের অনেকেরই মহাপ্রস্থান বা গ্রেক্সিটে রূপান্তরিত হয়েছে। ব্রেক্সিটের পক্ষে প্রচারণায় যাঁরা নেতৃত্ব দিলেন, তাঁদের যখন পথ দেখানোর কথা, তখন তাঁরাও সরে যেতে বাধ্য হলেন। টোরি পার্টির ডানপন্থী অংশের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লন্ডনের সাবেক মেয়র বরিস জনসন ও আইনমন্ত্রী মাইকেল গোভ। টোরি পার্টির বাইরে এই প্রচারণার নেতৃত্বে ছিলেন উগ্র জাতীয়তাবাদী ইউকে ইনডিপেনডেন্টস পার্টির (ইউকিপ) নাইজেল ফারাজ।বিস্তারিত--

No comments